ই-চিঠির জন্য আপনার নাম ও তথ্য দিন
নিচের ফর্মটি পূরণ করুন এবং ডানপাশে চিঠির লাইভ প্রিভিউ দেখুন।
আপনার তথ্য
+88
চিঠির প্রিভিউ

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সভাপতি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিষয়: সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি মাননীয় ড. ইউনুস, আমরা এই চিঠির মাধ্যমে সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের গভীর উদ্বেগ ও প্রত্যাশার কথা জানাতে চাই। গত ৩ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার প্রস্তাব এসেছে। আমরা স্বাগত জানাই যে সব রাজনৈতিক দল এই সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনে একমত। কিন্তু আমরা হতাশ ও বিচলিত যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সরাসরি নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে। যুক্তি দিয়েছে যে নারীদের এখনও সরাসরি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে সময় লাগবে। এই যুক্তি আমাদের মেনে নেওয়া কঠিন। জুলাই বিপ্লবে নারীরা ছিলেন নেতৃত্বের কেন্দ্রে। তাঁরা রাজপথে নেমেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, গণতন্ত্রের জন্য লড়েছেন। আজ যখন সেই নারীদের জন্য রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নির্ধারিত হচ্ছে, তখন বলা হচ্ছে সময় এখনো আসেনি। যে নারী ভোটে নির্বাচিত হন না, তাঁর কোনো জনগণের ম্যান্ডেট থাকে না। তাঁর নিজের কোনো ভোটার থাকে না, কোনো এলাকা থাকে না, জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা থাকে না। দলনেতার মনোনয়নে সংসদে যাওয়া মানে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নয়, দলের আনুগত্যের পুরস্কার। আমরা বারবার দেখেছি, এই মনোনীত আসনগুলোতে জায়গা পান মূলত রাজনীতিবিদদের আত্মীয়, পরিচিতজন, অথবা রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা। তাঁদের অনেকেই সংসদে বসে দলনেতার প্রশংসা ছাড়া তেমন কিছু করেন না। এই ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্ব প্রতীকি হয়ে দাঁড়ায়, গঠনমূলক হয় না। এই মুহূর্তে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সামনে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ রয়েছে। আপনি ও আপনার সহকর্মীরা যদি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি বড় পরিবর্তনের পথ খুলে যাবে। আমাদের দাবি: ১. সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ১০০ করা হোক, এবং সেগুলো অবশ্যই সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। ২. এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করা হোক এখনই। এই দাবির সঙ্গে শুধু আমি নই, বাংলাদেশজুড়ে হাজারো মানুষ একমত। আশা করি আপনি কমিশনের কার্যক্রমে এর প্রতিফলন ঘটাবেন। সম্মান ও প্রত্যাশা জানিয়ে, নাম: [আপনার নাম] জেলা: [আপনার জেলা] পেশা বা পরিচয়: [আপনার পেশা]